বিচারকদের ইউএনও স্ট্যান্ডার্ডের গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু/ ছবি: সংগৃহীত

বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু/ ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: হাইকোর্টের বিচারকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দেওয়া একই মডেলের গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, ‘দেড় দুই হাজার উপ-সচিব বিনা সুদে গাড়ি কিনতে পারলে হাইকোটের জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজ কেন সেই সুযোগ পাবে না?’

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকালে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। বরাদ্দ বাড়িয়ে বিচার বিভাগের নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে মামলা যাতে দ্রুত শেষ হয় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায় তার ব্যবস্থা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা উপ-সচিব হওয়ার পর গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান এবং গাড়ি কেনার সাথে সাথে ৫০ হাজার টাকা পান ড্রাইভার ও তেল খরচের জন্য। তাদের মতোই অতিরিক্ত দায়রা জজ ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের সেই সুযোগটা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অতিরিক্ত দায়রা জজরা বলছেন, এমপি বিনা সুদে গাড়ি পান। সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে যদি ৯০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গাড়ি দিতে পারেন, তাদেরও এমন একটা গাড়ি যেন দেওয়া হয়। যাতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে যেত পারেন। অন্তত ইউএনও স্ট্যান্ডার্ডের একটা করে গাড়ি দেওয়া হোক।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য চলছে। খেলাপী ঋণের পরিমাণ বলা হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃত খেলাপী ঋণের পরিমাণ দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা হবে। এটা উদ্ধার করা যাচ্ছে না। আবার ৮০ হাজার কোটি টাকা (খেলাপী ঋণ), হাইকোর্টে গিয়ে ইনজেনশন করে তারা এটাকে খেলাপী ঋণ বলা যাবে না- এমন আদেশ নিয়ে এসেছে। প্রকৃত খেলাপী ঋণ কত, তা আদায়ের অবস্থা কী তা বের করার জন্য কমিশন গঠন করতে হবে।’